"চর্যাপদ" বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন
চর্যাপদকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন ।
- বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য বা কবিতা সংকলন ।
- চর্যাপদের কবিতাগুলোকে গাওয়া হতো; তাই এগুলো একসাথে গান ও কবিতা ।
- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম একমাত্র লিখিত নিদর্শন ।
- চর্যাপদ সহজিয়া বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সাহিত্য ।
- চর্যাপদের পদগুলো ৭ম শতাব্দী থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত (পালদের আমলে রচিত)
পদসংকলনটি বাংলা ভাষায় (আদি বাংলা ভাষা)রচিত এটি প্রমাণ করেন-ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর The Origin and development of the Bengali Language নামক গ্রন্থে ।
- চর্যাপদকে "সন্ধ্যা ভাষা বা সান্ধ্য ভাষা ও" বলা হয় ।
- ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের ভাষা বঙগ-কামরূপী ।
- মুনিদত্ত চর্যাপদের পদগুলোকে টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন । ১১ নং পদের ব্যাখ্যা করেন নি ।
- আধুনিক ছন্দ বিচারে চর্যাপদ - মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
- চর্যাপদের পদ বা গান ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে,৫০ টি এবং সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ৫১ টি ।
- ৪৬ নং পদটি খন্ডিত আকারে পাওয়া যায় এবং ২৪,২৫ ও ৪৮ নং পদটি পাওয়া যায় নি ।
১৯২৬ খ্রিঃ ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and development of the Bengali Language নামক বিখ্যাত গ্রন্থে চর্যাপদের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন ।
- ১৯২৭ খ্রিঃ ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে আলোচনা করেন ।
- চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ করেন-কীর্তিচন্দ্র এবং ১৯৩৮ খ্রিঃ ড.প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন ।
- প্রাচীনতম পদকর্তা শবরপাদ এবং আধুনিক পদকর্তা সরহপাদ।হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে প্রাচীন কবি -লুইপা ।
- চর্যাপদের বাঙালি কবি শবরপা,লুুুুইপা,ভুুুসুুুকুুুপা,জঅনন্দীপা।শবরপা চর্যার শ্রেষ্ঠ কবি এবং লুইপার গুরু ।
- চর্যাপদের প্রথম বাঙালি কবি মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীননাথ বলে ধরা হয়।তাঁর কোনো সম্পূর্ণ পদ পাওয়া যায় নি ।
- ড মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের পদকর্তা ২৩ জন (Buddhist Mistic Song গ্রন্থানুযায়ী) ।
- চর্যাপদের অন্য নামগুলো হলোঃ চর্যাগীতিকোষ, দোহাকোষ, চর্য্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকা ।
- চর্যাপদে ৫ টি ভাষার মিশ্রণ রয়েছে - বাংলা, হিন্দি, মৈথিলী, অসমিয়া, উড়িয়া ।
- চর্যাপদে প্রবাদ বাক্য পাওয়া গেছে ৬ টি ।
- চর্যাপদে পদরচয়িতাদের মধ্যে আদি রচয়িতা লুইপা এবং সর্বাধিক পদরচয়িতা কাহ্নপা এর মোট ১৩ টি।
(২) ভুসুকুপা এর মোট ৮ টি - ৬,২১,২৩,২৭,৩০,৪১,৪৩,৪৯ নং পদগুলো ।
(৩) সরহপাদ এর মোট ৪ টি- ২২,৩২,৩৮,৩৯ নং পদগুলো ।
(৪) কুক্কুরীপাদ এর ৩ টি- ২,২০,৪৮(পদটি পাওয়া যায় নি) ।
(৫) লুইপা এর মোট ২ টি- ১,২৯ নং পদ ।
(৬) তন্ত্রীপা এর ২৫ নং পদ যা পাওয়া যায় নি ।
(৭) বীণাপা ১৭ নং পদ ।
(৮) বিরুপা ৩ নং পদ ।
(৯) জয়নন্দীপা ৪৬ নং পদ ।
(১০) ঢেগুণপা এর ৩৩ নং পদ ।
- চর্যাপদের প্রথম বাঙালি কবি মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীননাথ বলে ধরা হয়।তাঁর কোনো সম্পূর্ণ পদ পাওয়া যায় নি ।
- ড মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের পদকর্তা ২৩ জন (Buddhist Mistic Song গ্রন্থানুযায়ী) ।
- চর্যাপদের অন্য নামগুলো হলোঃ চর্যাগীতিকোষ, দোহাকোষ, চর্য্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকা ।
- চর্যাপদে ৫ টি ভাষার মিশ্রণ রয়েছে - বাংলা, হিন্দি, মৈথিলী, অসমিয়া, উড়িয়া ।
- চর্যাপদে প্রবাদ বাক্য পাওয়া গেছে ৬ টি ।
- চর্যাপদে পদরচয়িতাদের মধ্যে আদি রচয়িতা লুইপা এবং সর্বাধিক পদরচয়িতা কাহ্নপা এর মোট ১৩ টি।
চর্যাপদের রচয়িতা এবং তাদের সংখ্যাঃ
(১) কাহ্নপাদ এর মোট ১৩ টি - ৭,৯,১০,১১,১২,১৩,১৮,১৯,২৪,৩৬,৪০,৪২,৪৫ নং পদগুলো । এর মধ্যে ২৪ নং পদটি পাওয়া যায় নি ।(২) ভুসুকুপা এর মোট ৮ টি - ৬,২১,২৩,২৭,৩০,৪১,৪৩,৪৯ নং পদগুলো ।
(৩) সরহপাদ এর মোট ৪ টি- ২২,৩২,৩৮,৩৯ নং পদগুলো ।
(৪) কুক্কুরীপাদ এর ৩ টি- ২,২০,৪৮(পদটি পাওয়া যায় নি) ।
(৫) লুইপা এর মোট ২ টি- ১,২৯ নং পদ ।
(৬) তন্ত্রীপা এর ২৫ নং পদ যা পাওয়া যায় নি ।
(৭) বীণাপা ১৭ নং পদ ।
(৮) বিরুপা ৩ নং পদ ।
(৯) জয়নন্দীপা ৪৬ নং পদ ।
(১০) ঢেগুণপা এর ৩৩ নং পদ ।
চর্যাপদের নিদর্শনঃ
(১) "আলি এ কালি এ বাট রুন্ধেলা।
তা দেখি কাহ্ন বিমনা ভইলা" --(কাহ্নপা)
(২) "আপনা মাংসে হরিণা বৈরী'-- (ভুসুকুপা)
(৩) "চঞ্চল চিত্র পইঠা কাল"-- (লুইপা-অভিসময়বিভজ্ঞ গ্রন্থের রচয়িতা) ।
(৪) "কমল মধু পিবিবি ধোকইন ভোমরা" --(মীননাথ ) চর্যাপদে তাঁর কোনো পদ নেই কিন্তু ২১ সংখ্যক পদের টীকায় ৪ টি পংক্তির উল্লেখ আছে ।
(৫) "টালত মোর ঘর নাহি পড়বেশি,
হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশি "-- ঢেগুণপা এর এ পদে দারিদ্র ক্লিষ্ট জীবনের চিত্র ফুঁটে উঠেছে ।
মংগলকাব্য নিয়ে প্রতিবেদন চাই...
ReplyDeleteইনশা আল্লাহ পেয়ে যাবেন
Delete