Header Ads

Header ADS

উয়ারী বটেশ্বর

অবস্থান পরিচিতিঃঃ ঢাকা থেকে প্রায় ৭০ কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বে নরসিংদীর বেলাব উজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।এটি প্রায় ২৫০০ বছরের পুরনো বলে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ ধারণা করেন।এখানে বসতি গড়ে উঠে প্রায় ৪৫০ অব্দের দিকে।
-১৯৩৩ সালের দিকে স্থানীয় শ্রমিকদের নির্মাণ কাজের মাধ্যমে প্রথম উয়ারী ও বটেশ্বরের আবিষ্কার এর কাজের সূচনা হয়।প্রথমেই এক শ্রমিকের খনন কাজের মাধ্যমে বের হয়ে আসে কলসিতে সঞ্চয় করে রাখা রৌপ্যমুদ্রার ভান্ডার।আর এ ভান্ডার থেকে প্রায় ২০-৩০ টি মুদ্রা সংগ্রহ করেন উয়ারী বটেশ্বরকে সুধী সমাজের পরিচিতির মধ্যে আনা স্থানীয় শিক্ষক "মোহাম্মদ হানিফ পাঠান"।
-পরবর্তীতে শ্রমিকদের আরো খনন কাজের দ্বারা আবিষ্কৃত রৌপ্য মুদ্রা অবহেলায় হারিয়ে যায়। এভাবে কাজ ধীরে ধীরে চলার প্রায় এক পর্যায়ে এবং হানিফ পাঠানের প্রচেষ্টায় উয়ারী বটেশ্বরের খনন কাজে এগিয়ে আসে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। 
-উয়ারী বটেশ্বর সম্পর্কে হানিফ পাঠান তার ছেলে হাবিবুল্লাহ পাঠানকে অনুপ্রাণিত করেন।যা পরবর্তীতে উয়ারী বটেশ্বরের প্রাপ্ত নিদর্শনসমূহ সংরক্ষণে সহায়তা করে।
-আবিষ্কারঃঃ ১৯৩০ সালের দিকে স্থানীয় শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান প্রথম বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত উয়ারী বটেশ্বরের প্রাপ্ত নিদর্শন সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে  ২০০০ সালের দিকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এর একটি দল খনন কাজে এগিয়ে আসে।যার নেতৃত্বে ছিলেন বিভাগের প্রধান ড.সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এর খনন কাজে আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসে।  
উল্লেখযোগ্য কিছু নিদর্শন--
(১)ব্রোঞ্জের তৈরি ধাবমান অশ্ব
(২)উচ্চমাত্রায় টিনমিশ্রিত হাতলওয়ালা পাত্র,
(৩)শিব নৈবেদ্য পাত্র,
(৪)রেলিক কাসকিট এর ভগ্নাংশ;
(৫)পাথরের বাটখারা;
(৬)নব্যপ্রস্তুর যুগের বাটালি;
(৭)লৌহকুঠার;
(৮)বল্লম  ও ত্রিরত্ন;
(৯)কচ্ছপ,সিংহ, হস্তী,হাঁস এর প্রতিকৃতি;
(১০)রক্ষাকবচ ও পোড়ামাটির কিন্নর সহ নানাবিধ ও নিদর্শনাবলী।

No comments

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.