Header Ads

Header ADS

পুণ্ড্রনগর /মহাস্থানগড়


=অবস্থানঃ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মহাস্থানগড় বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের   একটি অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন।বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি. মি. উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম   
তীরে মহাস্থানগড় অবস্থিত।গড়ের পূর্ব পার্শ্বে রয়েছে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত শীলাদেবীর ঘাট। 

=পূর্বনামঃপূর্বে এর নাম ছিলো পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রনগর এবং এটি পূর্বে বাংলার রাজধানী ছিল।

=বাংলার প্রাচীনতম জনপদ ছিল পুন্ড্র বা পৌন্ড্র।

=নির্মাণকালঃ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্বে ২য় অব্দে এই নগর গড়ে উঠেছিল বলে ধারণা করা হয়।

=মহাস্থানগড় মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল।

=এখানে উল্লেখ্য আছে যে,পরশুরামের সাথে ফকির বেশি আধ্যাত্নিক শক্তির অধিকারী হযরত শাহ     সুলতান বলখী (রঃ)এর সাথে এক যুদ্ধ হয় ১২০৫-১২২০ খ্রিস্টাব্দে।এ যুদ্ধে পরশুরাম পরাজিত ও   নিহত হওয়ার মাধ্যমে এ অঞ্চলে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করেন।

=আবিষ্কারঃ ১৮০৮ সালে বুকানন হ্যামিল্টন সর্বপ্রথম মহাস্থানগড় কে আবিষ্কার করেন এবং ১৮৮৯    সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম এই স্থানটিকে পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী হিসেবে শনাক্ত করেন।

=দর্শনীয় স্থানসমূহঃ

(১)শাহ সুলতান বলখীর মাজার
(২)পরশুরামের প্রাসাদ
পরশুরামের প্রাসাদের ধবংসাবশেষ 
(৩)খোদার পাথর ভিটা
(৪)বৈরাগীর ভিটা
(৫)গোবিন্দ ভিটা
(৬)লক্ষীন্দরের মেধ
(৭)কালীদহ সাগর
(৮)পদনদেবীর বাসভবন
(৯)শীলাদেবীর ঘাট
(১০)জিউৎ কুন্ড পুকুর


-- এছাড়া ও মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ রয়েছে, যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে অনুমান করা হয়(উচ্চতা প্রায়৪৫ ফুট এবং পূর্বে রয়েছে ২৪ কোণবিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি গোসলখানা,যা বেহুলার বাসরঘর নামে পরিচিত।)।

No comments

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.