লোকসাহিত্য
=Folklore শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ "লোকসাহিত্য"।
=জনসাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত গান,কাহিনী,গল্প,ছড়া,প্রবাদ ই হলো লোকসাহিত্য।
=লোকসাহিত্যের উপাদান- জনশ্রুতিমূলক বিষয়।
=" ডাক ও খনার বচন" কে আদি নিদর্শন বলা হয়।
=লোকসাহিত্যের প্রাচীনতম সৃষ্টি - ছড়া।
=পশ্চিমবঙ্গের লোকগীতিসমূহ হলোঃ পটুয়া,ভাদু,ঝুমুর।
=উত্তরবঙ্গের লোকগীতিসমূহ হলোঃগম্ভীরা,জাগ, ভাওয়াইয়া।
=পূর্ববঙ্গের লোকগীতিসমূহ হলোঃজারি,ঘাটু।
="হারামনি" প্রাচীন লোকগীতি।এর সংকলক -মহম্মদ মনসুর উদ্দিন।
=ড.আশুতোষ ভট্টাচার্য লোককথাকে -রূপকথা,উপকথা,ব্রতকথা এই ৩ ভাগে ভাগ করেছেন।
=ঠাকুরমার ঝুলি,ঠাকুরদাদার ঝুলি,ঠানদাদার থলে - জনপ্রিয় রূপকথার সংকলন করেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
=পশুপক্ষীর চরিত্র অবলম্বনে রচিত -- উপকথা।যেমনঃ ঈশপের উপকথা।
=মেয়েলি ব্রতের সংগে সম্পর্কিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত লোককথা হলো- ব্রতকথা।
=গীতিকা যার ইংরেজি শব্দ Ballad.এক শ্রেণীর আখ্যানমূলক লোকগীতি। যা ফরাসি Ballet বা নৃত্য শব্দ থেকে এসেছে।
- ইউরোপে প্রাচীনকালে নাচের সাথে যে কবিতা গীত হতো তাকেই Ballad বা গীতিকা বলা হতো।
= বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহীত লোকগীতিগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যথাঃ
(ক) নাথ গীতিকাঃ১৮৭৮ সালে ভাষাবিজ্ঞানী স্যার জর্জ গ্রিয়ারসন রংপুর জেলার মুসলমান কৃষকদের কাছ থেকে "ময়নামতী গোপীচন্দ্রের পুঁথি" সংগ্রহ করে "মানিকচন্দ্র রাজার গান"নামে প্রকাশ করেন।
- ১৯২২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'গোপীচন্দ্রে গান'প্রথম খন্ড এবং ১৯২৪ সালে ২য় খন্ড প্রকাশিত হয়।
-প্রথম খন্ডের গাথা লোকসাহিত্যের অন্তভূর্ক্ত এবং ২য় খন্ডের আখ্যান দু'জন কবির রচনা যার একজন হলেন -ভবানীদাস এবং অপরজন হলেন -শুকুর মহম্মদ।
-ড.নলিনী কান্ত ভট্টশালী ঢাকা থেকে ভবানীদাসের "ময়নামতীর গান" এবং শুকুর মহম্মদের "গোপীচাঁদের সন্ন্যাস" সম্পাদনা করেন।
-মধ্যযুগের কবি শুকুর মহম্মদ রাজশাহী জেলার সিঁন্দুর কুসুম গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।তাঁর বিখ্যাত কাব্যের নাম- গোপীচাঁদের সন্ন্যাস।
(খ) মৈমনসিংহ গীতিকাঃ
- ময়মনসিংহ নদের ব্রক্ষপুত্র নদের পূর্বাংশে নেত্রকোণা,কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড়,বিল,নদ-নদী প্লাবিত ভাটি অঞ্চলে যে গীতিকা বিকশিত হয়েছিল তা মৈমনসিংহ গীতিকা" নামে প্রকাশ করেন।
-ড.দীনেশ চন্দ্র সেন গীতিকাগুলো সংগ্রহ করে " মৈমনসিং গীতিকা"নামে প্রকাশ করেন।প্রায় ২৩ টি ভাষায় অনূদিত হয় মৈমনসিংহ গীতিকা।
-মৈমনসিংহ গীতিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গীতিকাগুলো হলোঃ
-(১)মহুয়াঃঃ শ্রেষ্ঠ পালা। দ্বিজ কানাই প্রণীত একটি প্রণয় আখ্যান।
(২)দেওয়ানা মদিনঃ মনসুর বয়াতি প্রণীত।
(৩)জয়চন্দ্র চন্দ্রবতীঃনয়ানচাঁদ ঘোষ প্রণীত।
(৪)কাজল রেখা।
(গ)পূর্ববঙ্গ গীতিকাঃ
- -পূর্ব ময়মনসিংহ এবং অবশিষ্ট নোয়াখালী, চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সংগ্রহীত।এর সংগ্রাহক ছিলেন- ড.দীনেশ চন্দ্র সেন।
-নিজাম ডাকাতের পালা,কাফন চোরা,কমল সদাগর,ভেলুয়া,চৌধুরীর লড়াই উল্লেখযোগ্য গীতিকা।
-ডাক ও খনার বচন।
=জনসাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত গান,কাহিনী,গল্প,ছড়া,প্রবাদ ই হলো লোকসাহিত্য।
=লোকসাহিত্যের উপাদান- জনশ্রুতিমূলক বিষয়।
=" ডাক ও খনার বচন" কে আদি নিদর্শন বলা হয়।
=লোকসাহিত্যের প্রাচীনতম সৃষ্টি - ছড়া।
=পশ্চিমবঙ্গের লোকগীতিসমূহ হলোঃ পটুয়া,ভাদু,ঝুমুর।
=উত্তরবঙ্গের লোকগীতিসমূহ হলোঃগম্ভীরা,জাগ, ভাওয়াইয়া।
=পূর্ববঙ্গের লোকগীতিসমূহ হলোঃজারি,ঘাটু।
="হারামনি" প্রাচীন লোকগীতি।এর সংকলক -মহম্মদ মনসুর উদ্দিন।
=ড.আশুতোষ ভট্টাচার্য লোককথাকে -রূপকথা,উপকথা,ব্রতকথা এই ৩ ভাগে ভাগ করেছেন।
=ঠাকুরমার ঝুলি,ঠাকুরদাদার ঝুলি,ঠানদাদার থলে - জনপ্রিয় রূপকথার সংকলন করেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
=পশুপক্ষীর চরিত্র অবলম্বনে রচিত -- উপকথা।যেমনঃ ঈশপের উপকথা।
=মেয়েলি ব্রতের সংগে সম্পর্কিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত লোককথা হলো- ব্রতকথা।
=গীতিকা যার ইংরেজি শব্দ Ballad.এক শ্রেণীর আখ্যানমূলক লোকগীতি। যা ফরাসি Ballet বা নৃত্য শব্দ থেকে এসেছে।
- ইউরোপে প্রাচীনকালে নাচের সাথে যে কবিতা গীত হতো তাকেই Ballad বা গীতিকা বলা হতো।
= বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহীত লোকগীতিগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যথাঃ
(ক) নাথ গীতিকাঃ১৮৭৮ সালে ভাষাবিজ্ঞানী স্যার জর্জ গ্রিয়ারসন রংপুর জেলার মুসলমান কৃষকদের কাছ থেকে "ময়নামতী গোপীচন্দ্রের পুঁথি" সংগ্রহ করে "মানিকচন্দ্র রাজার গান"নামে প্রকাশ করেন।
- ১৯২২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'গোপীচন্দ্রে গান'প্রথম খন্ড এবং ১৯২৪ সালে ২য় খন্ড প্রকাশিত হয়।
-প্রথম খন্ডের গাথা লোকসাহিত্যের অন্তভূর্ক্ত এবং ২য় খন্ডের আখ্যান দু'জন কবির রচনা যার একজন হলেন -ভবানীদাস এবং অপরজন হলেন -শুকুর মহম্মদ।
-ড.নলিনী কান্ত ভট্টশালী ঢাকা থেকে ভবানীদাসের "ময়নামতীর গান" এবং শুকুর মহম্মদের "গোপীচাঁদের সন্ন্যাস" সম্পাদনা করেন।
-মধ্যযুগের কবি শুকুর মহম্মদ রাজশাহী জেলার সিঁন্দুর কুসুম গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।তাঁর বিখ্যাত কাব্যের নাম- গোপীচাঁদের সন্ন্যাস।
(খ) মৈমনসিংহ গীতিকাঃ
- ময়মনসিংহ নদের ব্রক্ষপুত্র নদের পূর্বাংশে নেত্রকোণা,কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড়,বিল,নদ-নদী প্লাবিত ভাটি অঞ্চলে যে গীতিকা বিকশিত হয়েছিল তা মৈমনসিংহ গীতিকা" নামে প্রকাশ করেন।
-ড.দীনেশ চন্দ্র সেন গীতিকাগুলো সংগ্রহ করে " মৈমনসিং গীতিকা"নামে প্রকাশ করেন।প্রায় ২৩ টি ভাষায় অনূদিত হয় মৈমনসিংহ গীতিকা।
-মৈমনসিংহ গীতিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গীতিকাগুলো হলোঃ
-(১)মহুয়াঃঃ শ্রেষ্ঠ পালা। দ্বিজ কানাই প্রণীত একটি প্রণয় আখ্যান।
(২)দেওয়ানা মদিনঃ মনসুর বয়াতি প্রণীত।
(৩)জয়চন্দ্র চন্দ্রবতীঃনয়ানচাঁদ ঘোষ প্রণীত।
(৪)কাজল রেখা।
(গ)পূর্ববঙ্গ গীতিকাঃ
- -পূর্ব ময়মনসিংহ এবং অবশিষ্ট নোয়াখালী, চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সংগ্রহীত।এর সংগ্রাহক ছিলেন- ড.দীনেশ চন্দ্র সেন।
-নিজাম ডাকাতের পালা,কাফন চোরা,কমল সদাগর,ভেলুয়া,চৌধুরীর লড়াই উল্লেখযোগ্য গীতিকা।
-ডাক ও খনার বচন।
No comments