Header Ads

Header ADS

সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার

নির্মাতা:: 
-পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত।যা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা হিসেবে স্বীকৃত।

-পালবংশীয় ২য় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব ৮ম শতকের শেষের দিকে অথবা ৯ম শতকে এই বিহার নির্মাণ করেছিলেন।মূলত বৌদ্ধ ধর্মের চর্চা এবং শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যেই এটি নির্মাণ করেন।
-চৈনিক বৌদ্ধ ভিক্ষু, পণ্ডিত, পর্যটক এবং অনুবাদক হিউয়েন সাং ৭ম শতাব্দীতে পুণ্ড্রবর্ধনে আগমন করেন।
    
-এটি(পুণ্ড্রনগর/মহাস্থানগড়) ছিলো পুণ্ড্রবর্ধন এর রাজধানী। 

--১৯৮৫ সালে UNESCO এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের ৩২২ তম ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

-আবিষ্কারঃঃ   

>১৮০৭ থেকে ১৮১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে পাহাড়পুর পরিদর্শন করেন এবং জরিপ কাজ পরিচালনা করেন বুকানন হ্যামিল্টন।যা পাহাড়পুড়ের প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক পরিদর্শন বলে গণ্য করা হয়।

>এরপর ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম এই স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং খনন কাজের প্রতি আগ্রহ দেখান।স্থানীয় জমির মালিক বলিহারের তদানীন্তন জমিদার ক্যানিংহামকে এই কাজে বাধা দিলে বিহার এলাকা এবং পুরাকীর্তির কেন্দ্রীয় অংশেড় শীর্ষভাগের খনন কাজ চালিয়ে এর সমাপ্তি দেন।

>পরবর্তীতে ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক আইনের আওতায় এই স্থানকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষিত হয়। 
অবস্থান ও আয়তনঃঃ   

> পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুণ্ড্রনগর বা বর্তমান মহাস্থানগড় এবং শহর কোটিবর্ষ যা বর্তমানে বানগড় হিসেবে পরিচিত এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার। 

>এর ধ্বংসাবশেষ বর্তমানে রাজশাহীর অন্তর্গত বদলগাছি ,নওগাঁ জেলায় অবস্থিত ।এটি জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেলস্টেশন হতে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমদিকে অবস্থিত।

>এই বিহারের বা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটির ভূমি পরিকল্পনা চতুর্ভূজ আকৃতির 

>এই বিহারটি পূর্বে ভারতবর্ষের অধিভুক্ত থাকলে ও বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্লাবন সমভূমিতে অবস্থিত,প্লাইস্টোসিন যুগের বরেন্দ্র নামক এলাকার অন্তর্ভুক্ত।

>স্থানীয় এলাকার লোকজন এই প্রত্নতাত্ত্বিক বিহারকে " গোপাল চিতার পাহাড়" হিসেবে আখ্যায়িত করে।আর সেই থেকেই এই প্রত্নতাত্ত্বিক বিহারের নামকরণ হয়েছে পাহাড়পুর (যার প্রকৃত নাম সোমপুর বিহার)। 

>সোমপুর বিহারে বাগদাদের খলিফা হারুন-অর-রশীদের ১২৭ হিজরী (৭৮৮ খ্রিস্টাব্দ)সালের রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া গেছে।

=সংলগ্ন স্থাপনাসনূহঃ 
>গয়েশ্বরী মন্দির
>স্নানঘাট 

=পাহাড়পুর সংলগ্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত মূর্তিসমূহঃ   

 -বেলে পাথরের চামুণ্ডাচ মূর্তি, 
-লাল পাথরের দণ্ডায়মান শীতলা  মূর্তি,
-কৃষ্ণ পাথরের বিষ্ণুর খণ্ডাংশকৃষ্ণ, 
-পাথরের দণ্ডায়মান গণেশ, 
-বেলে পাথরের কীর্তি মূর্তি, 
-দুবল হাটির মহারাণীর তৈলচিত্র, 
-সূর্য মূর্তি, 
-বেলে পাথরের গৌরী মূর্তিসহ আরো নানাবিধ মূর্তি। 
=সোমপুর বিহারের কক্ষের সংখ্যা ১৭৭টি এবং প্রায় ৬৩ টি মূর্তি ও ৪ টি শিলালিপি পাওয়া গিয়েছে।
="সত্য পীরের ভিটা "একটি উল্লেখযোগ্য স্থান

No comments

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.